কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রীর সনদ বাণিজ্যের ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় থাকায় চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে ওএসডি করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আনিসুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে ওএসডি করা হয়।
এদিকে একইদিনে অন্য একটি প্রজ্ঞাপনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আইসিটি পরিচালক প্রফেসর মো. মামুন উল হককে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়।
আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ বলেন, সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া এই ঘটনাই যাদের নাম এসেছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরা থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনকে (৫৪) গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে সনদ বাণিজ্যের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ডিবি প্রধান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন আমরা কাউকে ছাড় দেব না। এখন পর্যন্ত কাউকে ছাড় দেইনি। সনদ বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে যত বড় রাঘব বোয়াল জড়িত থাকুক তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের তথ্য-উপাত্তে যদি চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায় তবে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবো। যে কোনো সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকবো।