পাঁচ দিনের সফরে আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সরকারি সফরে থাকার সময় ইউএনএসকাপের ৮০ তম অধিবেশনেও যোগ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলে কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
চুক্তিটি হচ্ছে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত। এছাড়া জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; পর্যটন সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক; এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক হতে পারে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করার জন্য একটি সম্মতিপত্র সই করতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির জন্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়; বিশেষত বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল ও সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন, বৌদ্ধ সার্কিট পর্যটন প্রচারণা, পর্যটন অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম ও দক্ষতা বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধা অর্জন করতে পারবে। পর্যটন শিল্পে এই সহযোগিতার ফলে উভয় দেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি করা হলে উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর হবে এবং বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষণে সরকারী কর্মকর্তারা সময়মতো যোগদান করতে পারবেন বলে তিনি জানান।