প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছিলো বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিলো আলু খাওয়াতে। বর্তমান সরকার মাছ-ভাত নিশ্চিত করেছে। নিজেদের আমিষ নিজেরাই উৎপাদন করবো। খাদ্য নিরাপত্তার পর পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আলু খাওয়াতে চেয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনরা ভাতের বদলে আলু খাওয়াতে চেয়েছিল। আমরা মাছ-ভাত নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন চল্লিশ ভাগ পেঁয়াজ নিজেরাই উৎপাদন করি।
শেখ হাসিনা বলেন, পার্লামেন্টে যেদিন ঘোষণা দিলাম বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তখন বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়া বসা ছিলেন। আর সাইফুর রহমান উঠে দাঁড়িয়ে বলল, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে খাদ্যের সাহায্য পাওয়া যাবে না। তাদের চিন্তাধারা ছিল আমরা প্রতিনিয়ত অন্যজনের কাছে হাত পেতে থাকবো। অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব, আর ভিক্ষা চেয়ে খাবার খাব।
খাদ্যের পর পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময়ে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। আমার কারও কাছে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব না। নিজেরাই নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করব।
৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের কারও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল না মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন- আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।