পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনে কমলাপুর রেল স্টেশনে বেড়েছে ঘরমুখী মানুষের চাপ। আজ রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, চেকিং এর আওতায় এসে শত শত মানুষ স্টেশনে প্রবেশ করছেন। সবার সঙ্গেই রয়েছে ট্রেন যাত্রার টিকিট।
সবার সঙ্গেই রয়েছে ট্রেন যাত্রার টিকিট। কারো কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন। যাত্রীদের প্রত্যাশা, সারা বছর যদি রেলওয়ে এমন সার্ভিস দেয় তাহলে টিকিট বিহীন যাত্রী কমে যাবে।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগে স্টেশনে চলে আসায় প্লাটফর্মে অনেক যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
লালমনিরহাটগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সারোয়ার বলেন, জেনেছি ট্রেনটি ছাড়তে ১৫ মিনিট বিলম্ব হবে। এ নিয়ে তেমন কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ সুন্দর একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে স্টেশনে আসতে পেরেছি এবং ট্রেনে উঠতে পেরেছি।তিনি বলেন, লালমনিরহাট অনেকটা দূরের পথ। ঈদ ছাড়াও যে কোনো সময় এই পথে বাসে যাতায়াত অনেক কষ্টকর। ভাগ্যক্রমে অনলাইন থেকে টিকিট কাটতে পেরেছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতেই সেখানে যাওয়া।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। গতকাল ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বিলম্ব করা রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস আজ ঠিক সময় সকাল ৬টায় ঢাকা স্টেশন ছেড়েছে। জানা গেছে, গত চার দিনের তুলনায় আজকে পঞ্চম দিনের মানুষের ভিড় অনেক বেশি রয়েছে। বিকেলের ট্রেনগুলোতে হয়তো আরো বেশি যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।