সোমালীয় জলসীমায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
আজ বুধবার সচিবালয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। জাহাজটিতে ২৩ জন ক্রু ছিলেন। অপহরণ হওয়া জাহাজ উদ্ধারের অগ্রগতির বিষয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, \’সোমালীয় জলসীমায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের সুস্থ ফেরৎ আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।\’
তিনি বলেন, \’বলা হচ্ছে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়া থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি। জলদস্যু কারা এটাই এখনো আইডেন্টিফাইড নয়। ওই অঞ্চলটি সোমালিয়ান অঞ্চল সেটি বলা যেতে পারে। তবে সেটা কে তা (সোমালীয় জলদস্যু) বলা মুশকিল, সেটা আপনি হতে পারেন আমিও হতে পারি।\’
পরিবারগুলো উদ্বিগ্ন দিন কাটাচ্ছে- এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, \’আমরা সামাজিক জীব, পরিবার নিয়ে বসবাস করি। যে পরিবারগুলোর সদস্যরা সেখানে আটকে আছে, সে পরিবারগুলোর কীভাবে দিন যাচ্ছে সেটা আমরা অনুভব করছি। প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্য জায়গাগুলোতে তিনি কথা বলেছেন। নাবিকদের নিরাপদে বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।\’
নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে কত সময় লাগতে পারে- জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ বলেন, \’যারা এখন জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ করছেন তারা তো মানুষ না তারা জলদস্যু। মানুষের সঙ্গে কথা বললে আমি সময় নির্ধারণ করতে পারবো, এতগুলো মিটিং করলে আমরা শেষ করতে পারবো। এটা জলদস্যুদের বিষয়, জলদস্যু আর মানুষ এক নয়। তাই সময়টা এখানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না।\’
তিনি বলেন, \’তবে আমরা বদ্ধপরিকর, আমাদের নাগরিক নাবিকদের আমরা সুস্থ এবং স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশে ফেরৎ আনার ব্যাপারে।\’