প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সহকর্মীরা। তৃতীয় জানাজার নামাজ শেষে বনানী কবরস্থানে ইহসানুল করিমকে দাফন করা হয়েছে।
আজ সোমবার ১১ মার্চ দুপুরে তাকে দাফন করা হয়। পরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রয়াত ইহসানুল করিমের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম এবং মো. মজিবুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে প্রয়াত ইহসানুল করিমের জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
ইহসানুল করিম হেলাল রোববার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। ইহসানুল করিমের মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে তিনি এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ইহসানুল করিম ২০১৫ সালের জুন থেকে চুক্তি ভিত্তিতে সচিব পদমর্যাদা ও বেতনক্রমে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সর্বশেষ ২০২২ সালে তার চুক্তির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছিল।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইহসানুল করিম প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ছিলেন।
ইহসানুল করিম ১৯৭২ সালে বাসসের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সংবাদ সংস্থাটির বিভিন্ন পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লিতে সংস্থাটির ব্যুরো প্রধানের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি, ভারতের পিটিআই, দ্য স্টেটসম্যান ও ইন্ডিয়া টুডেসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বাংলাদেশ প্রতিবেদক হিসেবেও কাজ করেছেন।
২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাসসের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনের পর অবসর নেন ইহসানুল। ওই বছরের ২০ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়। ২১ মে তিনি প্রেস সচিব হিসেবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে দায়িত্ব নেন। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫১ সালের ৫ জানুয়ারি জন্ম নেয়া ইহসানুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেন।