দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কখনও ক্ষমা করা যায় না, তাদের শাস্তি পেতেই হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই নির্বাচনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেছে বলেও তিনি জানান।
গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ নির্বাচনের সব চেয়ে লক্ষণীয় হলো অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। সব থেকে বড় কথা নারী ভোটারদের উপস্থিতি, প্রথমবার যারা ভোটার হয়েছে সেই তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। সব থেকে বড় কথা অগ্নিসন্ত্রাস, এই অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আগুন লাগার পর মানুষ মারা গেলে কি ঘটনা হয়, আমরা তো কয়েক দিন আগে, যে অগ্নিকাণ্ড আমরা দেখলাম। এটা তো একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। সব থেকে দূভাগ্যের বিষয় যখন আমাদের দেশে আমরা দেখি রাজনীতির নামে, নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসন্ত্রাস ঘটানো হয়, মানুষ পোড়ানো হয়, মানুষ মারা হয় জাতীয় সম্পদ পুড়িয়ে ফেলা হয়, জীবন্ত মানুষগুলোকে পড়িয়ে ফেলা হয়। কোন মানুষের ভেতরে এতো টুকু মনুষ্যত্ববোধ থাকলে কি এই কাজ করতে পারে। কারো ভেতরে দেশ প্রেম থাকলে এই কাজ করতে পারে। কেন নির্বাচনকে বাধা দেওয়া সেখানে আমার প্রশ্ন। এ দেশে ১৯৭৫ সালের পর যে নির্বাচনগুলো হয়েছে প্রত্যেকটি নির্বাচন তো আমরা দেখেছি, হ্যাঁ, না ভোট অথবা নির্বাচন কমিশনে তালা দিয়ে ভোটের রেজাল্টই নাই। দুই দিন তিন দিন লেগে গেছে নির্বাচনের রেজাল্ট দিতে। এ রকম অনেক কিছু আমরা দেখেছি। আমাদের বিরোধী দলীয় নেতা দেখালেন, তিনি কিন্তু দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ নির্বাচনের রেজাল্ট দেখালেন।
তিনি বলেন, আমি জানি বিএনপির তরফ থেকে বিদেশে বার বার বলা হচ্ছে তাদের এতো লোক গ্রেপ্তার। সবই নাকি রাজবন্দি, রাজবন্দি, রাজবন্দি কাকে বলে। যারা এভাবে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে তারা কি রাজবন্দি হয়। তারা তো সন্ত্রাসী, তারা সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী এবং তারা অপরাধী। রাজনৈতিক কারণে তো কেউ গ্রেপ্তার নাই। যারা গ্রেপ্তার আছে, হয় হুকুম দাতা নয় সরাসরি অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত। অথবা অর্থ প্রদানকারি, কাজেই অর্থ প্রদানকারী, হুকুমদাতা অথবা সরাসরি জড়িত কেউ রেহাই পাবে না। সংসদ সদস্যদের বলবো নিজ নিজ এলাকায় যারা এই ধরনের অপরাধ করেছে, যেসব মামলা চলছে এ মামলাগুলো যেন যথাযথভাবে হয়, সাক্ষী সাবুদ যেন হয় এবং শান্তি যেন নিশ্চিত হয়।