তামাক ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সম্মিলিত গণআন্দোলন করার প্রত্যয় জানিয়েছেন ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিংর সদস্যবৃন্দ। সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং এর সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ এমপি।
সভায় সংসদ সদস্যরা বলেন, ফোরাম প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশকে তামাক, মাদক এবং অসংক্রামক রোগ মুক্ত করার জন্য সংসদ সদস্যরা নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের তামাকের ব্যবহার নিয়ে সচেতন হতে হবে। কারন এর মাধ্যমেই মাদকের সূত্রপাত। একই সাথে পরোক্ষ ধূমপান এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকের হাত থেকে আমাদের নারী ও শিশুদের রক্ষা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল আজিজ বলেন, ফোরাম গঠনের পর থেকে সংসদ সদস্যবৃন্দ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছেন। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা, তা বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যরা কাজ করছে এবং সামনের দিন গুলোতে আরো নতুন উদ্যমে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধেও লড়াই করছি। আমাদেরকে সমাজের সবাইকে নিয়ে তামাক এবং মাদকে বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।
সভায় অন্যান্য সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, ফেরদৌস আহমেদ,বিপ্লব হাসান, ডাঃ মোঃ হামিদুল হক খন্দকার, ডাঃ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, ডাঃআবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, আরমা দত্ত, রুনু রেজা, ফরিদা আক্তার বানু, দ্রৌপদী দেবী আগারওয়াল, কানন আরা বেগম, মোসাঃ ফারজানা সুমি, সাবেরা বেগম, পারুল আক্তার, কোহেলীকুদ্দুস, অনিমা মুক্তি গোমেজ, জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, দিলোয়ারা ইউসুফ, শামীমা হারুন, রুমা চক্রবর্তী, খালেদা বাহার বিউটি, নাদিয়া বিনতে আমিন, নাজনীন নাহার রশীদএবং ঝর্ণা হাসান।
আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিংর সমন্বয়ক ড. রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডঃ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ এবং ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবাকোফ্রি কিডস বাংলাদেশ এর কর্মকর্তাবৃন্দ।