ভবনটি ছিল সাততলা—এখন পুড়ে আঙ্গার। প্রাণহানি অর্ধশত ছুঁইছুঁই, এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পোড়া লাশের গন্ধ; স্বজনদের আহাজারিতে স্তব্ধ রাতের রাজধানী।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো ভবনটি পুড়ে যায়। এ পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
চার বছর পর আসা অধিবর্ষের (লিপ ইয়ার) বিশেষ এই দিনের রাতের নগরী পরিণত হয়েছে বিষাদের নগরীতে। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকার সেই ভবনটির অধিকাংশ ফ্লোরে ছিল খাবারের দোকান। সাততলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান ছিল। এছাড়া তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হতো সেখানে। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যেতেন। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রেস্টুরেন্টগুলোর প্রতিটিতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা আরও ভয়াবহ হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে জানিয়েছেন, মারা যাওয়াদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এ ছাড়া, ঢাকা মেডিকেল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আরও ২২ জন ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা বেঁচে আছেন তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। বাইরে কেউ আছেন কি না, সে তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।