বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা, অখণ্ডতা যাতে নিশ্চিত থাকে সেজন্য বিজিবির প্রত্যেকটি সদস্য বদ্ধপরিকর। এতে আমরা পিছপা হবো না। নতুন কোনো অনুপ্রবেশ আমরা আর করতে দেবো না। সকল এজেন্সির সহায়তায় সমন্বিতভাবে আমরা সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখবো।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ বেসামরিক ৩৩০ জনকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছ হস্তান্তর শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিবি প্রধান।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, মিয়ানমারের একজন কর্নেলসহ ৫ সদস্যের একটি দল এখানে এসেছেন। তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে করে দুই দেশের সম্মতিক্রমে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিককে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই দেশের পরষ্ট্রমন্ত্রণালয়, দূতাবাস আর আমাদের দেশের পররাষ্ট্রমণন্ত্রলায় দূতাবাস যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মতিতে এই প্রত্যবাসন সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, হাসপাতালসহ যারা সহযোগিতা করেছে সকলকে ধন্যবাদ। কিছুদিন আগে বলেছিলাম আমরা শিগগিরিই তাদের প্রত্যাবাসন করতে সক্ষম হবো অবশেষে তা সম্ভব হয়েছে।
যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তাদের সঙ্গে থাকা অস্ত্রগুলো ফেরতের প্রক্রিয়া কী এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এটি একটি পৃথক প্রক্রিয়া। সে ব্যাপারে ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এখন আমরা আপতত ব্যক্তি প্রত্যবাসন নিয়ে কাজ করছি। এসময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে, বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামসহ বিজিবি ও বিজিপির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।