বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে ভিসা আবেদনের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বৃদ্ধির তথ্য দিয়েছে ভিসা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবাল।
গত সোমবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য দেন ভিএফএস গ্লোবালের বাংলাদেশ প্রধান শান্তনু ভট্টাচার্য। তবে ভিসা আবেদনের সংখ্যা যেমন তিনি জানাননি, তেমনই আবেদন বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কারণও বলেননি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালের ভিসা আবেদনের পরিমাণ ২০২২ সালের তুলনায় ১৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভিসার আবেদন ২০২৩ সালেও শক্তিশালী অবস্থানে ছিলো। ২০২৩ সালে ভিসা আবেদনের পরিমাণ ২০১৯ সালের প্রাক-মহামারি সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ (২৩৩ শতাংশ) বেড়েছে।
ভিএফএস গ্লোবালের বাংলাদেশ প্রধান শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, ২০২২ সালে আমরা বাংলাদেশ এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া থেকে অনন্য চাহিদা লক্ষ্য করেছি, যার ফলে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থিতিশীল ভিসা আবেদনের পাশাপাশি একটি দুর্দান্ত ভ্রমণ মৌসুম তৈরি হয়েছিল। আমরা নির্বিঘ্ন, নিরাপদ, প্রযুক্তিগত ও নির্ভরযোগ্য সমাধানের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী গ্রাহক পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
আবেদনকারীদের সতর্ক করে দিয়ে শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, ভিএফএস গ্লোবালের নাম ব্যবহার করা ভুয়া ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার পেইজ থেকে এবং যারা অর্থের বিনিময়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বিক্রি করে, তাদের থেকে সাবধান হতে হবে।
তিনি বলেন, অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো ভিএফএস গ্লোবালের ওয়েবসাইটে বিনা খরচে প্রদান করা হয় এবং আগে আবেদন করার ভিত্তিতে সেবা প্রদান করা হয়। একটি দায়িত্বশীল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা এই সমস্যাটি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে থাকব এবং আমরা আবেদনকারীদের অনুরোধ জানাচ্ছি তারা যেন তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা আগে থেকেই করেন।
বেশিরভাগ দেশ ভ্রমণের তারিখের ৯০ দিন আগ পর্যন্ত ভিসার আবেদন গ্রহণ করে উল্লেখ করে শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, সংশোধিত শেনজেন ভিসা কোড অনুসারে, ভ্রমণের তারিখের ছয় মাস আগে পর্যন্ত শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। বিশেষ করে এই বছর উচ্চ চাহিদা এবং সীমিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট থাকায়, আমরা আবেদনকারীদের তাদের ভিসার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
কানাডার ভিসা যুক্ত করার জন্য পাসপোর্ট জমা দিতে দীর্ঘ অপেক্ষার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, চাহিদা ও জোগানের সম্পর্কের কারণে এটা হচ্ছে। দূতাবাস থেকে আমাদেরকে যে পরিমাণ অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতে বলে, আমরা সেটাই দিচ্ছি।
ভিএফএস গ্লোবাল বলছে, মহামারির পর থেকে ভ্রমণকারীদের মাঝে আরেকটি উল্লেখযোগ্য আচরণ লক্ষ্য করা গেছে, যা হলো ব্যাপক পরিমাণে ব্যক্তিগত পরিষেবা গ্রহণ। ভিএফএস গ্লোবাল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ভিসা আবেদন কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৬টি ক্লায়েন্ট সরকারকে সেবা দিয়ে আসছে।