প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে গণভবনে যাচ্ছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৬২ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (এমপি)। আগামী রোববার সন্ধ্যায় এসব সংসদ সদস্যকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, আগামী রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিলেও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পান মনোনয়নবঞ্চিতরা। পরে ভোটের মাঠে নৌকাকে হারিয়ে ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ীও হন। এর মধ্যে প্রায় ৬০ জন আওয়ামী লীগের। অনেকে দলীয় পদেও রয়েছেন।
আলোচনা আছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী জোট হতে পারে স্বতন্ত্র এমপিদের নিয়েই। কারণ দল হিসেবে সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। সে সংখ্যাটি মাত্র ১১টি। যদিও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টিই হচ্ছে দ্বাদশ সংসদের বিরোধী দল। জাতীয় পার্টিও বিরোধী দলীয় নেতা এবং উপনেতা নির্বাচন করে সেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তখনই পরিষ্কার হবে কে বসছে বিরোধী দলের আসনে।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেয়ায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলে বিভেদ বেড়েছে। কোথাও কোথাও সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। এই অবস্থায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনেই দলীয় প্রতীক নৌকা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দলের তৃণমূলে যে কোন্দল ও বিভক্তি তৈরি হয়েছে, সেটি মেটাতে বিভাগীয় নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের আটটি বিভাগীয় কমিটি রয়েছে। মূলত এসব কমিটির মাধ্যমেই তৃণমূলের বিরোধ মেটানোর পরিকল্পনা করেছে দলটি।
গত সোমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাশেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী, দলীয় প্রার্থী- সব মিলিয়ে সেখানে কিছু কিছু মান অভিমান, অন্তর্কলহ ছিল, যার রেশ এখনো শেষ হয়নি কিছু কিছু জায়গায়। তো সে অবস্থায় সব বিভাগীয় কমিটিকে আমাদের নেত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যে, বিভিন্ন জেলার যে যে অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো, এগুলো সংশিষ্ট সকলকে ঢাকায় ডেকে এনে এর সমাধান খুঁজে বের করা হবে এবং সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের বিভেদ কমানোর বার্তা দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।