নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘যাঁরা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও ভোট দিয়েছেন তাঁরা প্রমাণ করেছেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এদেশের মানুষ প্রত্যাখান করে। এই ভোট সহিংসতা-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমুচিত জবাব। ফলে এই নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগ জয়ী হয়নি, এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। আজকের এই দিনে আমি স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।’
গত রবিবার (৭ জানুয়ারি) দিনাজপুর-২ আসনে (বিরল-বোচাগঞ্জ) বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এর মাধ্যমে ২০০৮ সাল থেকে তিনি চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাঁরা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও ভোট দিয়েছেন তাঁরা প্রমাণ করেছেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এদেশের মানুষ প্রত্যাখান করে। এই ভোট সহিংসতা-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমুচিত জবাব। অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার জন্য দিনাজপুর-২ আসনের সকল জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সফল একটি নির্বাচন সম্পন্ন করেছি আমরা। এজন্য বোচাগঞ্জ উপজেলার সকল জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের উপজেলার বাইরে যাঁরা থাকেন তাঁরা ভোট দেওয়ার জন্যই দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন। ফলে তাঁদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আজকের এই দিনে আমি স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৫ই আগস্টে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই নির্বাচন আত্মসম্মানের নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থেকেও এত সুন্দর একটা নির্বাচন উপহার দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। রাজনৈতিক দলের যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে সফল নির্বাচন করা যেতে পরে , তা আজকের নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে অনেকেই ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে। তারা সবসময় উত্তেজনা ঘটাতে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ উত্তেজনার বদলে উৎসবকে বেছে নিয়েছে। তাই অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও নির্বাচন হয়েছে।
তিনি বলেন, যাঁরা এসব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ভোট দিয়েছেন। এটা সহিংসতা-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমুচিত জবাব। ফলে এই নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগ জয়ী হয়নি, এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২ আসনে মোট ভোট এসেছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১২০। এর মধ্যে নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯১২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার চৌধুরী জীবন পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৫৯ ভোট এবং জাতীয় পার্টির মাহবুব আলম পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৪৯ ভোট।