আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপারের উল্টো দিকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সিল ও সই দেওয়ার পর তা ভোটারকে সরবরাহ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের জারি করা এক পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বাস্তবায়নের জন্য বলেছে ইসি। ভোটদান প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে সম্প্রতি এই বিধান এনেছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটারের পরিচয় শনাক্তকরণের পর প্রকৃত ভোটারকে ব্যালট পেপার দেওয়ার সময় ব্যালট পেপারের অপর পৃষ্ঠায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৩১ এর দফা (২)(ঘ)-এর বিধান অনুসারে অফিসিয়াল সিল দ্বারা ছাপ এবং স্বাক্ষর দিয়ে ভোটারকে ব্যালট পেপার হস্তান্তর করতে হবে।
এছাড়া ভোটগ্রহণের এক পর্যায়ে কোনো ভোটকক্ষে যদি কোনো ব্যালট বাক্স পূর্ণ হয়ে যায় বা ব্যালট পেপার গ্রহণের জন্য তা আর ব্যবহার করা না যায়, তাহলে প্রিসাইডিং অফিসার ওই ব্যালট বাক্স তার নিজের স্বাক্ষর ও সিলমোহর দ্বারা এবং উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্ট বা পোলিং এজেন্টদের মধ্যে যারা ইচ্ছুক তাদের সিলমোহর বা দস্তখত দ্বারা সিল করে দেবেন এবং বাক্সকে একটি সুরক্ষিত স্থানে রাখবেন। এরপর ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে ভোটকক্ষে যে পদ্ধতিতে ব্যালট বাক্স দিতে হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে পুনরায় একটি নতুন ব্যালট বাক্স ব্যবহার করবেন।