প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা পার পাবে না। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যেই মামলা দেয়া হয়েছে। বিএনপির কিছু নেতা বলেন, এত হাজার মামলা হয়েছে! মামলা হবে না তো কী হবে?
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকালীদের শাস্তি অবধারিত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় আহত সাংবাদিকরা সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সাংবাদিকদের পেটাবে, পুলিশ মেরে ফেলবে, বাসে-ট্রেনে আগুন দেবে, তাদের আমরা কি গলার মালা দিয়ে বাহবা দেব? যারা এসব করছে, তাদের শাস্তি তো অবধারিত।
বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। বিএনপি জানে, নির্বাচনে এলে তারা পরাজিত হবে। তাই নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে দলটি। মানুষ হত্যা করে তারা কী রাজনীতি করতে চায়?
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে সমাবেশের নামে ব্যাপক সহিংসতায় জড়ায় বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা। ওইদিন অসংখ্য যানবাহনে আগুন দেয়া, পিটিয়ে হত্যা করা হয় পুলিশ সদস্য, প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও চালানো হয় হামলা।
বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ব্যাপক হামলার শিকার হন সাংবাদিকরা। ওইদিন কমপক্ষে ২০ জন গণমাধ্যম কর্মী বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন। তাদের অনেককেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছে।
রাজনৈতিক দলের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। তারা এ হামলার জন্য বিএনপি–জামায়াতকে দায়ী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।