আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সারাদেশের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়গুলোতে একযোগে এই কার্যক্রম শুরু হয়। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তারা এই প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছেন।
আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। সেই হিসাবে প্রচার-প্রচারণার জন্য এবার ১৮ দিন সময় পাবেন এমপি প্রার্থীরা।
সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গতকাল রোববার (১৭ ডিসেম্বর)। অনেক প্রার্থী শেষ দিনে এসে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। এখন চূড়ান্ত হয়েছে সব দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তালিকা। শেষ দিনে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ান ৩৪৭ জন। ফলে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬ জন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ২৭টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। গতকাল দিনের প্রথম ভাগে দল দুটি আসন ছাড় আর সমঝোতার বিষয়টি বললেও কত সংখ্যক আসন নিয়ে কথা হয়েছে তা নিশ্চিত করছিল না কেউই।
অবশেষে বিকেলে নির্বাচন কমিশনে জোটের প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে অবহিত করতে নির্বাচন কমিশনে যান আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। পরে তিনি সাংবাদিকদের আসন ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নির্বাচনে শরিকদের জন্য ৩২টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ২৬টি জাতীয় পার্টিকে আর ছয়টি আসন, ১৪ দলের শরিক জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় পার্টি-জেপিকে ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।
গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল। রোববার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোটের সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি ভোটের মাঠে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে অনুমোদন দেন।
প্রচারণায় প্রার্থীদের মানতে হবে যেসব নিয়ম
সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় কী করা যাবে, কী করা যাবে না তা নিয়ে আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসি।
সাংবিধানিক সংস্থাটির ওয়েবসাইটে সংসদ নির্বাচন আইনের ১০ নং ক্রমিকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী বিধিনিষেধ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য ব্যক্তিকে বিধি ৬ থেকে বিধি ১৪ এর বিধানগুলো মানতে হবে।