ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় মুদিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন করার পাশাপাশি চুরির সঙ্গে জড়িত একটি চোর চক্রের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় এসব পণ্য চুরি করে নিজেদের পারিবারিক প্রয়োজন মিটানোসহ বিভিন্ন মুদির দোকানে বিক্রি করে আসছিলেন চক্রটি। নারায়ণগঞ্জের রূপসী থেকে রোববার এই চক্রের তিন সদস্যসহ এক দোকানিকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ডিবি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– চোরাই মালের ক্রেতা দোকানদার রিফাত হাসান ভূঁইয়া। এছাড়া চোর চক্রের সদস্য নুর ইসলাম, তার স্ত্রীর ভাই মনির মিয়া ও রুবেল খাঁ।
তিনি বলেন, ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার ৩০ কিলোমিটার এলাকার দেড় শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে চক্রটিতে শনাক্ত করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে রোববার নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রিফাত নামের এক দোকানির নারায়ণগঞ্জের বাসা থেকে চোরাই সিগারেট এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত মিনি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে।
রেজাউল হক বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমে মিনি ট্রাক থেকে সিগারেট নামিয়ে রিকশায় করে নেওয়া হয় রিফাতের দোকানে। ওই ঘটনায় রিকশায় চালককে শনাক্ত করে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে রিফাতের তথ্য। পরে তার দেওয়া তথ্যে চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চোর চক্রের সবাই মিনি ট্রাকচালক। চক্রটি বাসা বাড়ি ও দোকানের মালামাল পরিবহন করে। তারা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি রেকি করে এবং সুবিধা মতো জায়গায় চুরি করে। ২০১৮ সাল থেকে চক্রটি দোকানে চুরি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রুবেলের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা ও একটি দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলা রয়েছে।
রেজাউল হক আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা গত কয়েক মাসে ঢাকা মহানগরী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তেল, সাবান, শ্যাম্পু ও দামি ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেটসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চুরি করেছে। তাদের সোমবার আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।