“বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’ ঘটাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র” রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার এমন বক্তব্য নাকচ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমার তো মনে হয় না। এ ধরনের কোনো সুযোগ নেই। আমরা একটা গণতান্ত্রিক দেশ। শেখ হাসিনার কারণে আমাদের দেশে গণতন্ত্র সমুন্নত আছে। আর আমরা ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করব। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সেটা করব। আমরা খুব ভালোভাবে চলছি।’
নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো কাণ্ড ঘটার কোনো সুযোগ নেই। আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ‘৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া কি বলেছে, এটা আমাদের ইস্যু না। এটা ওদের জিজ্ঞেস করেন। অনেকে অনেক ধরনের কথা বলবে কিন্তু আমরা এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমরা সার্বভৌম, আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’-এটার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করি। কে কি বললো না বললো, এটা তাদের মাথাব্যথা। আমার মনে হয় না এ ধরনের (আরব বসন্ত) কোনো সুযোগ আছে। আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ। শেখ হাসিনার কারণেই দেশের গণতন্ত্রটা সমুন্নত আছে। আমরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করবো।
ঢাকায় সহিংসতায় পিটার হাসের সম্পৃক্ততা নিয়ে রাশিয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগেও এই বাড়তি হামলা, মামলা, অগ্নিসন্ত্রাস ম্যানেজ করেছি। কিছু দুষ্টু লোক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বানচাল করার জন্য, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না তারা এইসব অপকর্ম করছে। আমাদের দেশের জনগণ এটি প্রতিহত করবে। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যাচ্ছি। আমাদের ভারসাম্য কূটনীতি নিয়ে আমরা চলতে চাই।
সুপার পাওয়াররা এখানে এক্সট্রিমিস্টদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে, এই সুপার পাওয়ার কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো সুপার পাওয়ার আমাদের প্রভাবিত করার কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। এগুলোর খবর আপনাদের কাছে আছে।