যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে ম্যানিলার বাংলাদেশ দূতাবাস। বিজয়ের ৫২ বছর উদযাপন উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গত শনিবার সকালে বাংলাদেশ ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন শুরু হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। এরপর দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সায়মা রাজ্জাকীর নেতৃত্বে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাস কর্মকর্তারা।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ আলোচনায় দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সায়মা রাজ্জাকী শুরুতেই বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। সেই সঙ্গে তিনি জাতীয় চার নেতা, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদ, দুই লাখ নির্যাতিতা মা-বোন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনা করে তিনি বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ৯ মাসের যুদ্ধের ইতিহাস বাঙালি জাতির আত্মত্যাগের ইতিহাস, বীরত্বের ইতিহাস এবং অর্জনের ইতিহাস।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং প্রবাসীসহ বাংলাদেশিদের নিরলস শ্রম ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন ইতিবাচক কার্যক্রমের তিনি প্রশংসা করেন।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল ও শক্তিশালী করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়মিতভাবে বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো আহ্বান জানান।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোসর্গকারী শহীদদের স্মরণে এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে আলোচনা সভার সমাপ্তি হয়।