ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। আজ (২৭ নভেম্বর) থিম্পুর নতুন কূটনৈতিক এলাকা হেজো-সামতেলিংয়ে ভুটান সরকারের দেওয়া জমিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
ভুটান এবং বাংলাদেশ নিজ নিজ রাজধানীতে দুদেশের পরস্পরের দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি প্রদান করেছে। এর ধারাবাহিকতায় ভুটান সরকার থিম্পুর সুপ্রিম কোর্টের পাশে নির্ধারিত কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৫ একর জমি প্রদান করে। উক্ত জমিতে দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ভুটান সরকার প্রদত্ত জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভুটানের ‘বজ্র বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়। সোমবার বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বজ্র বিল্ডার্স-এর মধ্যে ভবন নির্মাণের আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায় এবং বজ্র বিল্ডার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামশো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা ও মোনাজাতের পর চুক্তি স্বাক্ষর এবং দুদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায় বলেন, থিম্পুতে বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাস ভবন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটানের রাজার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার কূটনৈতিক সুসম্পর্কের পরিচয় বহন করে। এ ভবনের মাধ্যমে দুদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক বহুমুখী সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
থিম্পুতে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ প্রকল্পটির সময় ধরা হয়েছে ১৮ মাস। এতে ১ দশমিক ৫ একর জমিতে দূতাবাস ভবন, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন, স্টাফ কোয়ার্টার্স ও মাল্টিপারপাস হলসহ মোট চারটি ভবন নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক কার্যাবলী সম্পাদন হবে।