প্রতিবেশীদের সঙ্গে যেকোনো সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। বাংলাদেশ ও ভারত এর জন্য রোল মডেল বলে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুই দেশ জল ও স্থল সীমানার দীর্ঘদিনের জটিলতা আলোচনার টেবিলে সমাধান করে তার প্রমাণ করেছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট জি-টোয়েন্টির ভার্চুয়াল লিডারস সামিটে আজ গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। গাজায় হতাহতের পাশে দাঁড়াতে জি-টোয়েন্টি নেতাদের প্রতি এ সময় আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ বিশ্বময় শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গাজায় হতাহতের পাশে যেমন দাঁড়াতে হবে তেমনি মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আসে মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের মাতৃভূমিতেও প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, দেড়মাস ধরে আমরা ফিলিস্তিনে নির্দয় গণহত্যা দেখছি, যেখানে এরই মধ্যে হাজার হাজার নারী-পুরুষ নিহত হয়েছেন এবং দুঃখজনকভাবে পাঁচ হাজারেরও নিষ্পাপ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। শেখ হাসিনা জি২০ প্রেসিডেন্সির সফল পরিচালনার জন্য নরেন্দ্র মোদি ও ভারতকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশ বিশ্বময় শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গাজায় হতাহতের পাশে যেমন দাঁড়াতে হবে, তেমনি মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আসে দেশটির নাগরিকদের তাদের মাতৃভূমিতেও প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংক গঠন করে অবকাঠামো, জলবায়ু এবং প্রযুক্তি খাতে সহায়তায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই জোটের এগিয়ে আশাকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নানা সংকট মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।