দেশের যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে সব সময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, বঙ্গন্ধুর লালিত স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সেনাবাহিনী আজ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন দেশের আস্থা ও গর্বের প্রতীক। তাই আরও আধুনিক, যুগোপযোগী এবং শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করা বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গিকার।
বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি সেনাবাহিনীর প্রতি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সামরিক জীবনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জিত হয় এবং নৈপুণ্য নিশ্চিত করা যায়। সঠিক প্রশিক্ষণ পেশাগত মান বৃদ্ধি করে। সরকার সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন অব্যাহত রেখেছে। স্পেশাল ফোর্স তথা প্যারা কমান্ডোদের আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে তাদের আধুনিক অস্ত্র ও সমর সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ আজ কোনো একটি দেশ বা জাতির সমস্যা নয়, ধনী-গরীব, উন্নত অনুন্নত নির্বিশেষে বিশ্বের সব দেশের জন্যই সমস্যা। বিশ্ব শান্তির জন্যও মারাত্বক হুমকি। আমরা জঙ্গি দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ ক্ষেত্রে আপনাদের আত্মত্যাগ রয়েছে বলেও-যোগ করেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে অপারেশন ‘থান্ডার বোল্ট’ ও সিলেটের আতিয়া মহলে অপারেশন ‘টোয়াইলাইট’ এ জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সেনাবাহিনীর সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি। এছাড়া, দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণসহ তাদের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি রাজশাহী সেনানিবাসের শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনা সদস্যদের কুচকাওয়াজ অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং এক প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নকে জাতীয় পতাকা প্রদান করেন। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ সহ আরও অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ০২ নভেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি