দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে যে লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছিল সেটি বৃহস্পতিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মিধিলি’।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে ভোর নাগাদ গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১১টি জেলায় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। জেলাগুলো হলো বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও চট্টগ্রাম।
গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬৪ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। এটি সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
নিম্নচাপটি এখন মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এগিয়ে যাওয়ার গতি বিশ্লেষণ করে আমরা ধারণা করছি, এটি ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আগামীকাল (শুক্রবার) দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত আনতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘গত মাসে ঘূর্ণিঝড় হামুনের সময় উপকূলীয় জেলাসমূহে বরাদ্দ দেওয়া চাল, শুকনা খাবার, গোখাদ্য, শিশু খাদ্য ও অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিলাম। সেসব বরাদ্দ মজুদ আছে। সেগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন, খরচ করবেন। আরো প্রয়োজন হলে আমাদের জানালে আমরা সাথে সাথেই ব্যবস্থা করে দেব।’
কত সংখ্যক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে―জানতে চাইলে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সঠিক সংখ্যাটা বলা কঠিন। যেহেতু এটি ক্যাটাগরি-১ ঘূর্ণিঝড় তাই ঝুঁকির পরিমাণ কম। তাই আমরা একেবারে উপকূলবর্তী যারা বাস করে তাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করব।’
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ, মো. হাসান সারওয়ার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।