
জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সাধারণ বিতর্ক পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেবেন।
তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, অন্তর্ভুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য খাতে সাফল্য ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করবেন। পাশাপাশি, বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক সংকট, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিষয়গুলো তার বক্তব্যে উঠে আসবে।
মোমেন জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র/সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে পারেন, যার মধ্যে আশা করা যায় মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী এবং শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি।’
এছাড়া সরকার প্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার প্রধানরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবার কথা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এদের মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘের মহাসচিবের গণহত্যা বিষয়ক উপদেষ্টা, সদ্য নির্বাচিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক এবং আন্তর্জাতিক এটোমিক এনার্জি এজেন্সির মহাপরিচালক রয়েছেন।’
মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক থাকাকালীন হাঙ্গেরি এবং কাজাখাস্তানের সঙ্গে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে।’
ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান যেমন সুদৃঢ় করবে এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।