পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশের ধর্মঘট প্রত্যাহার

সংগৃহীত ছবি

ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন, পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক–শ্রমিক নেতারা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গত রবিবার থেকে রাতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) কার্যালয়ে এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক–শ্রমিক নেতারা। ধর্মঘটের কারণে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখেছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।

পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মিজানুর রহমান বলেন, চলতি মাসের মধ্যে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিপিসি। তাই চলমান কর্মসূচি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে তেল মালিক সমিতির আরেকটি সংগঠন বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হকের নেতৃত্বে থাকা একাংশ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। এই দিকে দুই সংগঠন ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় তেল উত্তোলন, সরবরাহ, বিক্রি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

সরকারি সংস্থার কাছ থেকে জ্বালানি তেল (ডিজেল, পেট্রল, অকটেন) কিনে তা বিভিন্ন ডিপো ও পেট্রোলপাম্পের পরিবহণ এবং গ্রাহকের কাছে বিক্রি করেন এই দুই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে রোববার ভোর থেকে সারা দেশে জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিক্রিতে ধর্মঘট পালন শুরু করে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক–শ্রমিকদের একাংশ। দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় তারা। তাদের মূল দাবি, জ্বালানি তেলে কমিশন বাড়ানো। ২০১৬ সাল থেকে এ দাবি জানিয়ে আসছে তারা।

পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশের ধর্মঘটে রাজধানীসহ সারা দেশে গতকাল অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প বন্ধ ছিল। যেসব পাম্প খোলা আছে, তেলের ডিপো বন্ধ থাকায় সেগুলোও তেল সংকটে পড়ে। ফলে যান চালকদের তেল নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।