উন্নয়ন কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পেরেছি : প্রধানমন্ত্রী

এশিয়ার ‘আয়রন লেডি’ আখ্যা পেলেন শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে পেরেছি। বাংলাদেশকে আরও উন্নত করতে হবে। সেটা সবাই নিবেদিত প্রাণ হয়ে নিজ নিজ এলাকার মানুষের সেবা করে যাবেন এটাই আমি চাই। মানুষের সেবা করাটাই সব থেকে বড় পাওয়া। এর চেয়ে বড় কিছু নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর থেকে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। আমাদের উন্নয়নের ধারা একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছে। সংসদ সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

আজ (০৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস ও রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে ওই আলোচনায় আরো অংশ নেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সরকারি দলের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আশরাফ আলী খান খসরু, সাজ্জাদুল হাসান, জুনাইদ আহমেদ পলক, ওয়াসিকা আয়শা খান, শফিকুল ইসলাম শিমুল ও আব্দুল আজিজ এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গা।

প্রয়াত সংসদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এই সংসদে ২৮ জন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৬ জন এবং জাতীয় পার্টির দুজন। ভেবেছিলাম সংসদের এই অধিবেশনে কোনো শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে না। কিন্তু তা হলো না। ছাত্ররাজনীতিতে থাকাকালে প্রয়াত রেবেকা মমিনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। রেবেকা মমিন আমার পত্রবন্ধু ছিল। সে আমাকে চিঠি দিত, আমিও দিতাম। সে তার চিঠিতে সব সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা লিখত। তার সাথে আমার বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল। আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করতাম।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং অত্যন্ত সাহসী নেতা। আসলে এই সংসদে আমাদের বহু নেতাকে হারাতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের এই নেতাদের অনেকের ওপরই অত্যাচার হয়েছে। রেবেকা মমিন তার নিজের জমি গরিব মানুষের জন্য দান করে গেছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য জমি দান করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ময়মনসিংহের নেতা মতিউর রহমান সাহেব মারা গেলেন। আমরা যখন জোট করি, তখন জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদের জন্য তার আসনটি আমরা ছেড়ে দিই। আমি উনাকে বললাম, আপনার আসনটি আমাদের জোটের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। তিনি এককথায় মেনে নিলেন। তিনি এই রকম একজন নেতা ছিলেন। তা না হলে তিনি ওই আসনে সংসদ সংসদ সদস্য থাকতেন।’