দেশের প্রথম উড়াল মহাসড়ক তথা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ ভোর ৬টা থেকে এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। আজ সকাল থেকেই এক্সপ্রেসওয়েত মহাসড়কে গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে গাড়ির চাপ দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে পারে গাড়ির চাপ।
এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী উড়ালসড়কের প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দেন। প্রধানমন্ত্রী কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজায় গাড়ি প্রতি ৮০ টাকা হারে টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠেন। পরে তিনি গাড়িতে করে উড়ালসড়ক হয়ে আগারগাঁওয়ের সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হন।
প্রায় ১১ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ১৪ মিনিটে পার হয়ে তিনি আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে সুধী সমাবেশে পৌঁছেন। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে রাখা উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন এবং পরে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারীকৃত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার যানবাহন এবং পথচারী চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহ থেকে নেমে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ।
এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং ওঠানামার র্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ৪০ কিলোমিটার।
নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে নিম্নবর্ণিত স্থানসমূহ হতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের থেকে।