‘ওর সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে” : প্রধানমন্ত্রী

৩০ ঘণ্টা প্লেনে জার্নি করে আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না: শেখ হাসিনা
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখছেন - সংগৃহীত ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দ্যেশে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিদেশে বসে বড় বড় কথা বলছে। সাহস থাকলে বাংলাদেশ সফরে আসে না কেন? এতে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি হয়েছে। সাহস থাকলে দেশে আসুক। দেশের মানুষ তাদের ছাড়বে না।

২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি তার সন্তোষ প্রকাশ ও শ্রদ্ধা জানাতে প্রধানমন্ত্রী বিতর্ক অধিবেশনে এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের জনগণ ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ী কাউকে ছাড় দেবে না। এ জাতি আর হত্যার মাধ্যমে শাসন করবে না।

এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে অবিলম্বে এই রায় কার্যকর করা উচিত। ২১শে আগস্ট সন্দেহভাজনদের মধ্যে কয়েকজন কারাগারে রয়েছে। তবে এর উৎস বাহ্যিক। মুচলেকায় মুক্তি পান তিনি।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশে বসে বড় বড় কথা বলছে। সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসে না কেন? হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। সাহস থাকলে দেশে আসুক। দেশের মানুষ তাদের ছাড়বে না।

এ মামলায় দণ্ডিত তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রায় দ্রুত কার্যকর হওয়া উচিৎ। ২১ আগস্টের কিছু আসামি আছে কারাগারে। কিন্তু এর মূল হোত তো বাইরে। সে তো মুচলেকা দিয়ে বাইরে চলে গেছে।

‘ওর সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে? আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি সেই সুবিধা নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে। আর কত হাজার হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে চলে গেছে। সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসুক। বাংলাদেশের মানুষ এই খুনিদের ছাড়বে না। বাংলাদেশের মানুষ ওদেরকে ছাড়বে না।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, কিছু লোক হয়, তাই নিয়ে ওদের লম্ফ ঝম্প। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে চেনে নাই। মানুষের কাছ থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলতে চেয়ছিল, জয় বাংলা মুছে ফেলেছিল, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল; কিন্তু পারেনি। আবার ফিরে এসেছে। কাজেই এই বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না। জিয়া পরিবার মানে খুনি পরিবার।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মোশতাককে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে ১৫ আগস্টের খুনিদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাদেরকে বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের বেছে বেছে খুন করার পরিকল্পনা করেন। একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়ে কতগুলো মানুষকে মেরেছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলায় আমার বেঁচে যাওয়া ‘অবাক বিস্ময়’। খালেদা জিয়া-তারেক তাদের হাতে রক্ত।