স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর চিকিৎসায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুধু তিন হাজার বেড রাখা আছে, দুই হাজার বেড ভর্তি আছে। আমি সারা দেশে পাঁচ হাজার বেড রেডি রাখার অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু অনেক শয্যা এখনও খালি রয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ইউনিট পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রীর মতে, সারাদেশে অপ্রত্যাশিতভাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দশ গুণ বেড়েছে। এর জন্য পর্যাপ্ত স্যালাইন প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে যারা স্যালাইন উৎপাদন করে তাদের পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করার পরামর্শ দিয়েছি। কোনো ওষুধ কোম্পানি এত লবণ উৎপাদন করতে না পারলে প্রয়োজনে অন্য দেশ থেকে লবণ আমদানির নির্দেশনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখনো ডেঙ্গু মাত্রারিক্ত আছে। এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৮০ হাজার ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। গত বছর কম ছিল, তার আগে একটু বেশি ছিল। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৭৩ জন। এটা আমি মনে করি অনেক বেশি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগী কমাতে হলে মশা কমাতে হবে, মশা কমলে মশার কামড় কমবে, ডেঙ্গু রোগী হবে না। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে আহ্বান করেছি তারা যাতে ভালো করে স্প্রে করে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কিট সংকট নেই। সাপ্লাইয়ে যদি কম দেখে বা ঘাটতি দেখে, তাদের প্রয়োজনে বাইরে থেকে ক্রয় করতে পারবেন এ রকম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, সিভিল সার্জন ডা: মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেয়র মোঃ রমজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল প্রমুখ।