আশরাফুল হোসেন আলম, যিনি হিরো আলম নামেও পরিচিত, একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন এবং ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন।
সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের কাছে তিনি এই মামলাটি উপস্থাপন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
তবে মামলা হওয়ার পর রিজভীকে ক্ষমা করে দিতে হবে বলে আদালতকে জানিয়েছেন হিরো আলম।
যেহেতু মানুষ ভুল করে, তাই আমি মামলা করার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু সামনে গিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির কেউ যেন আমার বিরুদ্ধে কথা না বলে, সেজন্য আমি আদালতে হাজির হয়েছি।
মামলা দায়েরের পর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ডিবি পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন। সে সময় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি।
সোমবার দুপুরের পর প্রথমে আদালতে হাজির হন হিরো আলম। এরপর মামলাটির আপিল করেন তার অ্যাটর্নি আবদুল্লাহ আল মনসুর। মামলার আবেদনে সাক্ষী হিসেবে চারজনকে ডাকা হয়েছে। এরপর হিরো আলমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
গত ১৮ জুলাই রাজশাহী মহানগরীর ভুবন মোহন শহীদ মিনার পার্কে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হিরো আলমকে ‘আধা পাগল’ বলে উল্লেখ করেন। সে সময় ঢাকা-১৭ আসনে হিরো আলমের মতো ‘অর্ধপাগল’ নির্বাচিত হচ্ছেন বলে দাবি করে রিজভী সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। তারপরও সরকার অবাধ নির্বাচন করতে নারাজ।
রিজভীরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে হিরো আলম প্রাথমিকভাবে ডিবি কার্যালয়ে যান।
তিনি সেখানে গিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
রিজভী আমাকে পাগল ও অশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন, হিরো আলম এর আগে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন। আমাকে পাগল আর অশিক্ষিত বললেও কেন? আমি কখনই বিএনপি বা আওয়ামী লীগ নিয়ে আলোচনা করিনি। কেন তারা আমার সাথে এত খারাপ ব্যবহার করে? বিএনপির জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব রুহুল কবির রিজভী আমাকে অশিক্ষিত বলেছেন। এ বিষয়ে ডিবির কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। তবে এ বিষয়ে ডিবি কোনো মামলা নিতে পারেনি বলে দাবি করেন তারা। আমি এখন আদালতে মামলা করব। পরে আজ আদালতে মামলা করেন তিনি।