প্রায় বারো বছর পর রংপুর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ফাইল ছবি

প্রায় ১২ বছর পর রংপুর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমন ঘিরে রংপুর মহানগরী নিরাপত্তায় বেষ্টিত ঢেকে ফেলা হয়েছে। রংপুরের সবাই তাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত।

আজ বেলা ৩টায় রংপুর জেলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আয়োজকরা বলছেন। প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে তাদের প্রত্যাশা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনসভা চলাকালীন নেতাকর্মীদের প্রবেশ ও বের হওয়া পথে নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নগরীতে এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবেশদ্বারগুলিতে, সন্দেহজনক ব্যক্তি এবং যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে। পার্কিংয়ের জন্য ২১ টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

পীরগঞ্জের লালদীঘির বধূ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিতে রংপুরবাসীর আয়োজনে বিন্দুমাত্র কমতি নেই। তার আগমনে উচ্ছ্বসিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের মধ্যে লাগামহীন উচ্ছ্বাস। মিছিলে নগরী মুখরিত। চলছে প্রাণবন্ত প্রচারণা। বাদ্য ও যন্ত্রের তালে মানুষ গান গাইছে, নাচছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, জিলা স্কুল মোড়, ডাকঘর জংশন, সুরভি উদ্যান মোড়, পুলিশ লাইন মোড় এবং সিটি বাজার সহ জনসমাগমের স্থান ছাড়াও বেশ কয়েকটি স্থানে মাইক্রোফোন স্থাপন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড শহরজুড়ে প্রদর্শিত হয়েছে। শহরের কিছুই খালি নেই – বৈদ্যুতিক স্তম্ভ, ল্যাম্পপোস্ট, দেয়াল এবং গাছ অন্তর্ভুক্ত। ডিভাইডার ও রাস্তা পরিষ্কার ও পালিশ করা হয়েছে। মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে নৌকা আকৃতির একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, মিডিয়া, গেস্ট কর্নার কাছাকাছি। উন্মুক্ত সভায় এসএসএফসহ বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন কাজ করছেন।

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক উপকমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ উত্তেজনার বিষয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জনসভার জন্য আমি বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি বলে দাবি করেন মনিরুজ্জামান। রুট বরাবর একটি চেকপয়েন্ট ছাড়াও একটি জনসভা স্পট থাকবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবং প্রবেশপথে নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবেন।