আইএমএফের পরামর্শে বাজেট করিনি: অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল

আইএমএফের পরামর্শে বাজেট করিনি: অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল - সংগৃহীত ছবি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে বাজেট দেয়া হয়েছে বলে সিপিডি ও বিএনপি যে অভিযোগ তুলেছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তা উড়িয়ে দিচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনি আজ শুক্রবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আইএমএফ শুধু ঋণ দিয়ে নয়, পরামর্শ দিয়েও সহযোগিতা করে। এটা অর্থনীতির জন্য ভাল। তবে তাদের পরামর্শ মতো আমরা বাজেট করিনি। ‘

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (আইএমএফ) পরামর্শের যেটুকু গ্রহণ করা যায় সেটুকু করব। সেখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

বাজেটে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পালনের আভাস স্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আইএমএফের শর্ত পূরণের বাজেট এটি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

‘দেড় দশকের উন্নয়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শিরোনামের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশে আটকে রেখে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।

বাজেট পেশের পরদিন বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে যারা কাজ করে সেটি ভাল। তারা শুধু অর্থ দিয়ে সাহায্য করে না, অর্থনৈতিক বিভিন্ন সংস্কারে সহায়তা করে। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখারও থাকে।’

তিনি বলেন, পৃথিবীতে কেউ কাউকে ছেড়ে একা এগুতে পারবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য আমদানি রফতানি সব যুক্ত বিশ্বের সাথে। মাঝেমধ্যে আমাদের নমনীয় ভাবে চলতে হবে। আইএমএফ আমাদেরকে কখনো শর্ত দেয়নি। তারা দেখে দেশের সব সূচক স্থিতিশীল আছে কিনা।

‘এখানে শেখার অনেক কিছু থাকে, অনেক সময় আমরা সফল হই। আইআইএমএফের পরামর্শে বাজেট করি নাই যতোটুকু গ্রহন করা উচিত বলে মনে করি ততটুকু করেছি।’

প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, পুরো বাজেট গরীব ধনী সবার জন্য উপহার। আমাদের মধ্য আয়ের মানুষ অনেক বেশি। কিন্তু তারা কেউই কর দেয়না। এরা কর দিলে অন্যদের ওপর চাপ কমত। আইএমএফের শর্ত আছে, সবার কাছে কর নিতে হবে।

এবারের বাজেটের আলোচিত বিষয় হচ্ছে- করমুক্ত সীমার নিচে থাকলেও টিআইএনধারীকে আগামী অর্থবছর থেকে ২ হাজার টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮৮ লাখ টিআইএনধারীর সিংহভাগই এতদিন কর দিতেন না। কর না দেয়া সেই বিপুল সংখ্যক টিআইএনধারী এবার করের আওতায় এসে যাচ্ছেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, কর দিতে না চাওয়ার মানসিকতা থেকে বের হতে হবে। টিআইএনের বিপরীতে যে দুই হাজার টাকা কর নির্ধারন করা হয়েছে তা গরীব মানুষদের জন্য নয়। যারা টিআইএন খোলে তাদের এটা দেয়ার সামর্থ্য আছে।