আগামীকাল রাষ্ট্রপতি পাবনায় যাচ্ছেন, এডওয়ার্ড কলেজে সংবর্ধনা মঙ্গলবার

দায়িত্ব গ্রহণের পর আগামীকাল সোমবার প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নিজ জেলা পাবনায় যাচ্ছেন। তিন দিনের সফরে নাগরিক সংবর্ধনাসহ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে বরণে অপেক্ষায় পাবনাবাসী। এডওয়ার্ড কলেজে চলছে উৎসবের আয়োজন।

রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে ক্ষমতাসীন নেতাকর্মীদের মধ্যেও দেখা গেছে উৎসবের আমেজ। শুধু দল নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। রাষ্ট্রপতিকে বরণ করতে পুরো শহরে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। জেলা প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীরা এ নিয়ে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল মতীন খান বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রপতি আমাদের গৌরব। তার সম্মান রক্ষার্থে আমরা যা যা করণীয় তা-ই করব ইনশা আল্লাহ। এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনার জন্য আমরা প্রস্তুত। সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে একটি আনন্দঘন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে।’

সফরসূচি অনুযায়ী, ১৫ মে সকালে ঢাকা থেকে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারযোগে পাবনায় পৌঁছাবেন। পাবনা অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে অবতরণের পর গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে বিশ্রাম নেবেন। এরপর দুপুর সোয়া ১টায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু চত্বরের নামফলক উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দুপুর দেড়টায় তিনি আরিফপুর কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে কবর জিয়ারত করবেন।

এরপর স্কয়ার বাগানবাড়ির পারিবারিক কবরস্থান পরিদর্শন এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর সার্কিট হাউসে রাত যাপন করবেন।

পরেরদিন ১৬ মে সকাল ১০টায় পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ মে সকালে পাবনা ডায়াবেটিক সমিতি পরিদর্শন ও শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনোদন পার্ক পরিদর্শন করবেন। এরপর সার্কিট হাউসে রাত্রি যাপন করে ১৮ মে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রপতি নিজ জেলায় আসবেন। জেলাবাসীর জন্য এটি খুবই আনন্দের খবর। বরণের প্রস্তুতি শেষের দিকে। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে পাবনাকে। রাষ্ট্রপতি বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীসহ (এসএসএফ) সব বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমাদের বৈঠকও হয়েছে। নিরাপত্তার দিক দিয়ে কোন কিছুর ঘাটতি রাখা হয়নি।