ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ফসলের ক্ষতি এড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয় পাকা ধান, আমসহ অন্যান্য ফসল দ্রুত সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছে।
আগামী ১২ অথবা ১৩ মে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। এ সময় উপকূলের নিচু এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ফসলের ক্ষতি এড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাওরে শতভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। সারাদেশে ৬০ ভাগ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা তৈরি হওয়ায় সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ফসলের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকদের মাধ্যমে কিছু নির্দেশনা ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছে সরেজমিন উইং।
নির্দেশনা অনুসারে, ৮০ শতাংশ পাকা ধান, পরিপক্ব আম ও অন্যান্য সংগ্রহ উপযোগী ফসল দ্রুত সংগ্রহ করার জন্য কৃষকদের বলতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতামূলক তথ্য মাঠে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। সম্প্রসারণ কর্মীদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিতে কৃষকের পাশে থাকতে হবে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য সেবা বিএএমআইএস থেকে আবহাওয়া সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য ও পরামর্শ পাওয়া যাবে।
এপ্রিলের শেষভাগে আকস্মিক বন্যার শঙ্কায় হাওর এলাকায় পাকা ধান কাটা শুরু হয়। এরপর মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এল ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা। দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রচেষ্টা চলমান থাকবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়।