এবারও ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ঈদগাহ মাঠের প্যান্ডেলে ৩৫ হাজার এবং সড়কে লাখো মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ঈদের জামাত ঘিরে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে এবারই প্রথমবারের মতো সিভিল সার্জন কার্যালয় ও র্যাবের উদ্যোগে দুটি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ময়দানে ফ্যান, লাইট, সিসি ক্যামেরা ও অজুর স্থান প্রস্তুত করার পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ঠেকাতে ত্রিপল টাঙানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম থাকছে ময়দান ঘিরে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের বিশাল এ মাঠ এরইমধ্যে সামিয়ানা দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ভিভিআইপি, ভিআইপি জোন পৃথক করা হয়েছে। সিলিং ফ্যান ছাড়াও টেবিল ফ্যান ও এয়ার কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূল মাঠের বাইরে স্থাপন করা হয়েছে দুটো ওয়াচ টাওয়ার।
এদিকে, তীব্র গরমের কথা বিবেচনায় জাতীয় ঈদগাহে ১০টি এয়ার কুলার ছাড়াও পর্যাপ্ত ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে খাবার পানি ছাড়াও থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র, ভ্রাম্যমাণ টয়লেটসহ বৃষ্টির পানি নিরসনের ব্যবস্থা।
শুক্রবার সকালে র্যাব, পুলিশ ও ডিবিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জাতীয় ঈদগাহ মাঠে টহল দিতে দেখা গেছে। র্যাব পুলিশের ডগ স্কোয়াড, সোয়াত ও বিভিন্ন বাহিনীর বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিটকেও কাজ করতে দেখা গেছে।
রাজধানীতে সম্প্রতি একাধিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সতর্কতার অংশ হিসেবে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের দিয়াশলাই বা লাইটার জাতীয় কোনো বস্তু সঙ্গে না আনার আহ্বান জানানো হয়েছে৷
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ বছর রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারেন। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সচিব, কূটনীতিকরাসহ ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা নামাজে অংশ নেবেন।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এ বছর ঈদের নামাজ পড়াবেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমিন।