সারাদেশে হালনাগাদের পর মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সামনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্বাচন কমিশন জানায়, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন, নারী ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৮৩৭ জন।
২০২২ সালের ২ মার্চ দেশের ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। সারাদেশে হালনাগাদের পর ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন ভোটার বেড়েছে। সেই হিসাবে ভোটার বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। হালনাগাদে পর ভোটার তালিকায় নতুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৮০ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫৯ জন। আর মৃত ভোটার কর্তনের সংখ্যা ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি।
গত বছরের ২০ মে থেকে গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্ব ঘোষিত সময় (এ বছর ১৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়। এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন কারো কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান। এক্ষেত্রে দাবী, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় ছিল ১৬দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হলো বৃহস্পতিবার।
এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ব্যয ধরা হয়েছিল ১০৬ কোটি ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা আগেরবারে চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালানাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে পাঁচবার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল ও ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।