মিরপুরের কালশী ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছেন। আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টার দিকে কালসী এলাকায় গিয়ে তিনি ফ্লাইওভারটির উদ্বোধন করেন। দুই দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারের মাধ্যমে মিরপুরের সঙ্গে বনানী, উত্তরা এবং রাজধানীর পূর্বাংশের যোগাযোগ আরও সহজ হবে বলে আশা করছে সরকার।
১ হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ফ্লাইওভারের মাধ্যমে মিরপুরের সঙ্গে বনানী, উত্তরা এবং রাজধানীর পূর্বাংশের যোগাযোগ আরও সহজ হবে বলে আশা করছে সরকার।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কালশী বালুর মাঠে একটি জনসভারও আয়োজন হয়েছে, যেখানে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর আজই ফ্লাইওভারটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর সড়ক থেকে মিরপুর এলাকায় ঢোকার একটা প্রবেশপথ কালশী সড়ক। তবে ওই এলাকায় সব সময় যানজট লেগে থাকত। যানজটের ভয়ে ১০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে মিরপুর যেতে হত। ফ্লাইওভারের নির্মাণ হওয়ায় আর তা করতে হবে না বলে মেয়র আতিকুল ইসলামের প্রত্যাশা।
ফ্লাইওভার এলাকায় দুটি ফুটব্রিজ করা হয়েছে, তাতে থাকবে চলন্ত সিঁড়ি। সাইকেলের জন্য আলাদা লেইন রয়েছে।
ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প একনেকের অনুমোদন পায় ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি।
প্রকল্পের আওতায় ইসিবি চত্বর থেকে কালশী পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত হয়েছে। কালশী মোড়ে হয়েছে ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার।
চার লেইনের এই ফ্লাইওভারের র্যাম্প পাঁচটি। ইসিবি চত্বর থেকে কালশী মোড় পর্যন্ত ফ্লাইওভারটি চার লেইনের। সেখান থেকে কালশী রোড এবং ডিওএইচএস মুখী মূল ফ্লাইওভারটি দুই লেইনের।
কালশী মোড় থেকে কালশী সড়কের দিকে নেমেছে দুই লেনের একটি র্যাম্প। ডিওএইচএস প্রান্তের র্যাম্প দিয়ে যানবাহন ওঠানামা করতে পারবে। আর একটি র্যাম্প নেমেছে সাগুফতা হাউজিংয়ের কাছে, সাগুফতা থেকে আরেকটি র্যাম্প দিয়ে ওঠা যাবে ফ্লাইওভারে। মিরপুর ডিওএইচএস প্রান্ত এবং ইসিবি চত্বরের দিকের প্রান্ত থেকে ফ্লাইওভারে ওঠা যাবে। কালশী রোড প্রান্ত দিয়ে নামার সুযোগ রয়েছে, ওঠা যাবে না।
প্রকল্পের আওতায় দুইটি ফুটব্রিজ নির্মাণ, একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ সম্প্রসারণ, একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, দুটি পুলিশ বক্স, ৭ দশমিক ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন ও সসার ড্রেন নির্মাণ, ১ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার পাইপ ড্রেন নির্মাণ, সাইকেলের জন্য আলাদা লেইন এবং ছয়টি বাস বে এবং যাত্রী ছাউনি করা হয়েছে।