দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এরপর সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন সরকারপ্রধান।
মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনা মোনাজাত করেন। এ সময় তার সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মেট্রোরেলের লাইন-১-এর ডিপো নির্মাণ হবে নারায়ণগঞ্জ জেলার পিতলগঞ্জে। এ কাজের জন্য জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ডিএমটিসিএল। পুরো প্রকল্পটির কাজ ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরই প্যাকেজ সিপি-১-এর আওতায় ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। যেখানে ডিপো নির্মাণ করা হবে সেখানে অনেক উঁচু নিচু জায়গা আছে। সেগুলো ভরাট করার কাজ শুরু হবে। তারপর সেখানেই ডিপো নির্মাণ করা হবে।
এমআরটি লাইন-১ হিসেবে চিহ্নিত এ প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটারের পুরো অংশ হবে ভূগর্ভে। এ অংশে থাকবে মোট ১২টি স্টেশন। আরেক অংশ হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে; সেই অংশ নতুন বাজার থেকে কুড়িল হয়ে যাবে পূর্বাচলে। ১১.৩৬ কিলোমিটারের এ অংশে থাকবে মোট ৯টি স্টেশন।
পাতাল ও উড়াল মিলে মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সাল নাগাদ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। এ পাতাল রেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা। জাপানি ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। আর বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে।