প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তরুণ প্রজন্মকে যত বেশি সাহিত্যের দিকে আনতে পারবো, খেলাধুলা ও সংস্কৃতির দিকে আনা যাবে, তারা ততোটা সৃজনশীল হবে। মাদক ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকবে। এখন সবাই বই পড়তে চাই না, তাই অডিওর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যদিও বই পড়ার তৃপ্তি আলাদা।
আজ বুধবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন ।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালে এসেছিল এমন সরকার। আমরা দেখেছি। তখন কী হয়েছিল? জোড়াতালি দিয়ে দল গঠন করা হয়েছিল। সুবিধাবাদী কিছু এই দল সেই দলের নাম তোলে। আমাদেরকে বন্দি করা হয় কারাগারে। আর তারা মেতে ওঠে নানা কর্মকাণ্ডে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি বিশ্বসাহিত্যের সঙ্গে আমাদের ভাষার একটা সম্পর্ক তৈরি হওয়া দরকার। এ কারণে বাংলা সাহিত্যের সব বই অনুবাদ করতে হবে।
তিনি বলেন, আদালতের রায় যাতে বাংলায় লেখা হয় ইতোমধ্যে সে ব্যবস্থা কিন্তু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেই চর্চাও শুরু হয়েছে। কারণ ভাষার জন্য আমাদের অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা রয়েছে। ভাষার অধিকার থেকেই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। কাজেই বাংলা ভাষার প্রসারে আমাদের করণীয় সবকিছুই করতে হবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলা সাহিত্যের যত বই বের হবে, সবগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করতে হবে। তাহলেই সারাবিশ্ব আমাদের কথা জানবে। সারাদেশে কালচারাল সেন্টার করা হয়েছে। আমরা জেলায় জেলায় বইমেলা করছি। এভাবে আমাদের বিভিন্ন দেশেও বইমেলা করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। কূটনৈতিকদের মাধ্যমে সেই ব্যবস্থাটা করা প্রয়োজন। এতে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এবার বইমেলায় নতুন পুরনো মিলিয়ে ১৩৬টি বই প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি। তার মধ্যে বইমেলার প্রথম দিনে ‘শেখ মুজিবুর রহমান রচনাবলী’, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী-পাঠ বিশ্লেষণ’, ‘আমার দেখা নয়াচীন-পাঠ বিশ্লেষণ’, ‘কারাগারের রোজনামচা-পাঠ বিশ্লেষণ’, হাসান আজিজুল হকের ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’ এর ইংরেজি অনুবাদ ‘দ্য লেটার অব সাবিত্রী’-র মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।