সরকারি কর্মস্থলেই চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত রোগী দেখতে পারবেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

চিকিৎসকরা সরকারি যে হাসপাতালে চাকরি করছেন, তারা ঐ হাসপাতালেই ব্যক্তিগতভাবে রোগী দেখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, আগামী ১ মার্চ থেকে পাইলট কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস’ কার্যক্রম শুরু হবে। রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস কার্যক্রম শুরু হলে রোগীরা বেশি চিকিৎসাসেবা পাবেন। চিকিৎসকদের এ বিষয়ে আরো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা করার বেশি সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, হাসপাতালে প্র্যাকটিসের পর যদি চিকিৎসকরা কেউ চান, বাইরেও প্র্যাকটিস করতে পারবেন। ১ মার্চ থেকে ৫০টি উপজেলা, ২০টি জেলা এবং পাঁচটি মেডিকেল কলেজে শুরু হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্বল জায়গা হলো উপজেলা হাসপাতালগুলো, সেগুলো উন্নত করার চেষ্টা করছে সরকার। এগুলোতে প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে।

এ সময় সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি এবং লিভার ট্রান্সপ্লান্টের প্রসঙ্গেও কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এখন থেকে বাংলাদেশের চিকিৎসা কেন্দ্র এবং চিকিৎসকরাই কিডনি আর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে পারবে, এটা করতে মানুষকে আর বিদেশ যেতে হবে না। এটা চিকিৎসা খাতের সফলতা।