রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে রাশিয়ার জাহাজ \’ উরসা মেজর\’ ভারতীয় জলসীমা ছেড়ে গেছে। বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না পেরে ভারতের কোনো বন্দরেও মালামাল খালাসের চেষ্টায় সফল হয়নি জাহাজটি।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, উরসা মেজরের পরিবর্তে অন্য জাহাজে করে রাশিয়ার মালামাল বাংলাদেশে আনার সুযোগ রয়েছে। সে নিয়েই আলোচনা চলছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্রুত অন্য কোনো জাহাজে করে ওই মালামাল বাংলাদেশে আসবে।
রোসাটম বাংলাদেশের মুখপাত্র ফরহাদ কামাল আজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রূপপুরের সরঞ্জাম নিয়ে আসা জাহাজটির পণ্য ভারতেও খালাস করতে দেয়নি। তবে রাশিয়া খুব দ্রুতই অন্য কোনো জাহাজে এসব মালামাল পাঠিয়ে দেবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মালামালগুলো আগেই চলে এসেছে। ওই জাহাজে গুরুত্বপূর্ণ কোনো মালামাল ছিল না। তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
উরসা মেজর নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে গত ১৪ নভেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর ছেড়ে আসে। গত ২৪ ডিসেম্বর জাহাজটির বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ওই জাহাজ বাংলাদেশে আসার আগেই যুক্তরাষ্ট্র ঢাকাকে জানায়, উরসা মেজর নামে জাহাজটি আসলে স্পার্টা থ্রি নামে রাশিয়ার মালিকানাধীন একটি জাহাজ। এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। এই জাহাজটিকেই নাম বদলে নতুন নাম উরসা মেজর হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া আছে। নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন জাহাজকে বাংলাদেশে ভিড়তে দিলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
জাহাজটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে গিয়ে পণ্য খালাসের চেষ্টা করে। সংশ্লিষ্ট স্থানীয় এজেন্ট সেখান থেকে পণ্য বাংলাদেশের রূপপুরে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে অনুমতি না পাওয়ায় তা-ও সম্ভব হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজগুলো যাতে বাংলাদেশে ভিড়তে না পারে সে জন্য এ মাসের শুরুতে সরকার সমুদ্রবন্দরগুলোতে নির্দেশনা পাঠিয়েছে।