বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হলো আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। লাখো মানুষের অংশগ্রহণে এতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
আজ রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শুরু হয় মোনাজাত। ২০ মিনিটের মধ্যে মোনাজাত শেষ হয়ে যায়। এটি পরিচালনা করেন কাকরাইল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহম্মদ জুবায়ের।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, এ বছর বেলা ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত শেষ করতে ইজতেমা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তারা সে অনুযায়ী মোনাজাত শেষ করেছে।
মোনাজাতের শুরুতে আল্লাহতা’লার দরবারে মানুষের হেদায়েত কামনা করা হয়। দুনিয়ার সকল মানুষের সুখ, শান্তি, উন্নতি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়।
মাওলানা মুহম্মদ জুবায়েরের সঙ্গে লাখো মুসল্লি দুই হাত তুলে ‘আমিন’, ‘আমিন’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলেন পুরো টঙ্গী। ইজতেমার মাঠ ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো মাইকে সেই ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে তুরাগ নদের চারপাশের এলাকায়। মোনাজাতের সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। টঙ্গীর আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হতে থাকে লাখো কণ্ঠের কান্নার ধ্বনি। নানা বয়সী ও পেশার মানুষ, এমনকি নারীরাও ভিড় ঠেলে মোনাজাতে অংশ নিয়ে আল্লাহর দরবারে মনের আকুতি জানিয়ে কেঁদে বুক ভাসান।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে মুসল্লিতে ঠাসা ছিল মাঠ। কোথাও তিল ধারণের মতো জায়গা নেই। যারা ময়দানে অবস্থান করছেন তারা দু-তিন দিন আগেই এসেছেন। রোববার ভোর থেকে ঢল নামে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের। মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মাঠের দিকে মানুষের এ ঢল অব্যাহত ছিল।
মোনাজাত শুরু হওয়ার পর যে যেখানে ছিলেন, সেখানেই হাত তুলে দাঁড়িয়ে যান। অনেকেই টিভির সামনে দাঁড়িয়ে দুহাত তুলে মোনাজাতে অংশ নেন।
এদিকে, মোনাজাত শেষ হতেই সবাই যার যার মতো ইজতেমা মাঠ থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। এখন আবার উল্টো পথে ঢল নামবে মানুষের। এটি বিকেল পর্যন্ত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।