বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা আসতে পারে যে কোনো সময়। এবার সরকারের নির্বাহী আদেশে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হবে। দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে চূড়ান্তকরণের কাজ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে এই দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্মকর্তারা কিছুই জানে না।
বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, এখনো দাম বৃদ্ধির কোনো খবর নেই। তবে দাম বাড়লে সবাই জানতে পারবে। বাংলাদেশে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য আবু মো. ফারুক বলেন, সরকার নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করতে পারে। আমরা এখনো বিষয়টি জানি না।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে জানান, গ্রাহক পর্যায়ে ইউনিট প্রতি ১৯ পয়সা করে বাড়বে বিদ্যুতের দাম। জানুয়ারি মাস থেকেই বাড়ল বিদ্যুতের দাম। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই দাম দিতে হবে। আর যেসব গ্রাহক প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন তাদের এই মাস থেকেই বাড়বে বিদ্যুতের দাম।
পাশাপাশি এখন থেকে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। সরকারের নির্বাহী আদেশে এই মূল্য সমন্বয় হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুতের মূল্য হয় কমবে না হয় বাড়বে। প্রতিমাসেই খুচরা পর্যায়ের গ্রাহককে নতুন দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিইআরসি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যে রশি টানাটানি চলছে। গত ৮ জানুয়ারি বিইআরসি গণশুনানির আগে মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়। মন্ত্রণালয় তখন বিইআরসিকে শুনানি করে দাম বৃদ্ধি করার অনুমোদন দেয়। কিন্তু ৮ জানুয়ারি শুনানির পর মন্ত্রণালয় থেকে ফোন করে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ার পরামর্শ দেয়।
বিইআরসির এই পরামর্শ বাস্তবায়নে অপারগতা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়কে জানায়, ১৫ জানুয়ারি শুনানি পরবর্তী সাবমিশন (মতামত) প্রেরণ করার সময় দেওয়া হয়েছে। এর আগে দাম বৃদ্ধি করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।