আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে উদ্ভূত যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত রয়েছে বলে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন।
তিনি আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
পাশাপাশি মানুষের জান-মাল ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার নিরাপত্তায় র্যাবের সঙ্গে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল ফোর্স, স্পেশাল ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টার ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি। সেইসঙ্গে নাশকতার পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য সাদা পোশাকে থাকবেন র্যাবের গোয়েন্দা সদস্যরা।
খন্দকার আল মঈন বলেন, রাজধানী ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু স্থাপনা রয়েছে। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বিদেশি স্থাপনা ও অ্যাম্বাসি রয়েছে। ঢাকা শহরের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সবসময় সচেষ্ট রয়েছি।
তিনি বলেন, শুধু এই সমাবেশ ঘিরে নয়, আমরা সবসময় জননিরাপত্তা ও দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার বিষয়ে সচেষ্ট আছি। যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে র্যাবের পক্ষ থেকে রুটিন পেট্রোল থাকবে, চেকপোস্ট থাকবে। এছাড়া সাইবার ওয়ার্ল্ডে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে, যাতে কোনো ধরনের উস্কানিমূলক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নাশকতার চেষ্টা না করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা \’হিজরত\’ করার লক্ষ্যে ঘরছাড়া তরুণদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিতে রাঙামাটি ও বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পাঠাতো।