রাজধানীসহ দেশের সব ফার্মেসিগুলোতে মুড়ি মুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। আইইডিসিআরের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে বিভিন্ন রোগের জীবাণু এখন হয়ে পড়েছে ওষুধ প্রতিরোধী। ফলে বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে এটি আর কোনো কাজ করছে না। যার ফলে ঘটছে রোগীর মৃত্যুও। তাই এর অপব্যবহার রোধে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে।
অধিদপ্তরটি জানিয়েছে, নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্যাকেটেও থাকবে সিগারেটের মোড়কের মতো স্বাস্থ্য সতর্কতা। অ্যান্টিবায়োটিকের মোড়কের রঙ হবে লাল। আর ফার্মেসিগুলোতে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করা হবে। সেই সঙ্গে পূর্ণ কোর্স ছাড়া বিক্রি হবে না খুচরা।
সরেজমিন রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার একটি ফার্মেসিতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিন বিক্রি করতে দেখা যায়। অথচ পরামর্শপত্র ছাড়া এমন ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু সেই নির্দেশনার কোনো তোয়াক্কা করছে না দেশের অধিকাংশ ফার্মেসিগুলো।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহম্মদ ইউসুফ বলেন, খোদ রাজধানীতেই মুড়ি মুড়কির মতো দেদারে বিক্রি হচ্ছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক। এই পরিস্থিতিতে ওষুধটির ব্যবহার সংক্রান্ত একটি নীতিমালা করা হয়েছে। এই নীতিমালা মতে এখন থেকে সিগারেটের প্যাকেটের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মোড়কেও থাকবে স্বাস্থ্য সতর্কতা। আবার কোর্স কমপ্লিট ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিতে থাকবে নিষেধাজ্ঞা।
এদিকে দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের কথা স্বীকার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পৃথিবীর কোথাও স্বীকৃত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয়না। কিন্তু এর যথেচ্ছ ব্যবহারে তৈরি হয়েছে নানা জটিলতা।
ইতিমধ্যে মানহীন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করায় ২৭টি ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।