আমেরিকায় পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর এক খুনিকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা (আমেরিকা) সেই খুনিকে লালন-পালন করছে। তাদের কারবারই এ রকম।
তিনি আজ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে এ কথা বলেন।
পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে আনার প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি এবং জনগণের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। অন্তত তারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল বলেই এ হত্যার বিচার করতে পেরেছি। কিন্তু এখনো কিছু খুনি রয়ে গেছে। আমেরিকায় এক খুনি রয়ে গেছে, তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা বারবার চেষ্টা করছি। তার ফাঁসির আদেশ হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর পালিয়ে থাকা খুনিদের ফিরিয়ে আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, খুনিদের লালন পালন করা- একজন কানাডায়, একজন ওই আছে আমেরিকায়, আর দুইজন পাকিস্তানে। আরেকজনের খবর পাওয়া যাচ্ছে না কখনো ইন্ডিয়াতে কখনো জার্মানিতে বিভিন্ন জায়গায় মোসলেহ উদ্দিন। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে যে পৃথিবীর যেখানেই থাকুক, যেভাবেই হোক তাদের ধরে এনে সাজা অবশ্যই আমরা নিশ্চিত করবে ইনশাআল্লাহ। সেটাই আমি চাই।
পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচরা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে যেরকম একজন ড্রাগ ডিলার, বারবার ড্রাগসহ ধরতে গেছে পুলিশ। তার (পুলিশ) ওপর হামলা করেছে, র্যাব ধরতে গেছে হামলা করেছে। ১৪টা মামলার আসামি ড্রাগসহ ধরা পড়ে। পুলিশের ওপর তার গ্রুপ গুলি করে, র্যাবের ওপর গুলি করে। তারপর সেও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। তার জন্য আমাদের দেশের কিছু লোক বিভিন্ন জায়গায় তদবির করে বেড়ায়। অথচ এ ড্রাগ ডিলারদের খোঁজ আনতে গিয়ে, ধরতে গিয়ে আমাদেরই একজন এয়ার ফোর্স এর অফিসারকে ড্রাগ ডিলাররা অপহরণ করে নিয়ে যায়। অত্যন্ত নির্মমভাবেই তাকে হত্যা করে। কিছুদিন আগের ঘটনা।
বাংলাদেশের কয়েকজনের ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এ ব্যাপারে তাদের কোনো উদ্বেগ নেই। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ নেই। যারা ওই আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, আমেরিকা তাদেরও কোনো উদ্বেগ নেই। কারো কোনো উদ্যোগ নেই। কেমন একটা অদ্ভুত বিশ্ব পরিস্থিতি, সেটাই আমার কাছে অবাক লাগে।