জাপান সরকার গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ও স্বাগতিক সম্প্রদায়কে সহায়তার জন্য ইউএনএফপিএ’র সঙ্গে ৩৭ মিলিয়ন ডলারের একটি বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোর বৃদ্ধি, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা থেকে নারী ও মেয়েদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষা এবং কিশোর ও যুবকদের ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে। জাপান দূতাবাসের এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সঙ্গে বিনিময় চুক্তি হস্তান্তরকালে ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লুকুস বলেছেন, জাপান সরকারের উদার সহায়তায়, ইউএনএফপিএ জীবনরক্ষাকারী এসআরএইচ এবং জিভিবি পরিষেবাগুলো বৃদ্ধি করতে এবং নোয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সুবিধাগুলোর মধ্যে সংযোগ জোরদার করতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। ইউএনএফপিএ জাপান সরকারকে আস্থা প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানায় এবং বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার ফলাফল উন্নত করতে নোয়াখালী জেলা ও ভাসানচর জুড়ে তাদের উৎসাহব্যঞ্জক সম্পৃক্ততার জন্য।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, আমি আনন্দিত যে জাপান কক্সবাজার ও ভাসান চরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং ইউএনএফপিএর মাধ্যমে স্বাগতিক সম্প্রদায়কে অতিরিক্ত সহায়তা দিতে পেরে। যদিও দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকটের কারণে অনেক নারী ও মেয়ে প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যা এবং জিবিভিতে ভুগছে। সে সব এলাকায় সহায়তা তুলনামূলকভাবে খুবই কম।
তিনি বলেন, আমি আশা করি এই সহায়তা নারী ও মেয়েদের সুরক্ষা, তাদের মর্যাদা এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অবদান রাখবে। যেহেতু রোহিঙ্গা সংকট ষষ্ঠ বছরে পদাপর্ণ করেছে, মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে শরণার্থীদের উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের জন্য অর্থায়ন অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, এই সংকটের টেকসই সমাধান একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক হবে, জাপান রোহিঙ্গাদের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পাশে দাঁড়াবে।