ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে সারা বছরের খরা কাটিয়ে ইলিশের দেখা মেলার পরপরই শুরু হচ্ছে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। আগামী শুক্রবার (৭ অক্টোবর) থেকে মা ইলিশ সংরক্ষণে মাছ ধরা নিষিদ্ধের খবরে জেলেরা হতাশ। এদিকে জেলার দুই লাখের বেশি জেলের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত। বছরের পর বছর তারা বঞ্চিত সরকারি সহায়তা থেকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘনায় জাল, জেলে আর নৌকা-ট্রলারের এমন অবাধ বিচরণ, তবে শুক্রবার থেকে ২২ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে মাছ শিকার। তাই শেষ মুহূর্তে সময় নষ্ট না করে দিনরাত মেঘনার জল ছেঁকে তুলে আনছেন ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। বেচাকেনার ধুম পড়েছে মাছঘাট আর মোকামে।
জেলেরা জানান, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলছে। এ অবস্থায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরুর খবরে আবার হতাশা দেখা দিয়েছে জেলেদের মধ্যে। জেলার নিবন্ধিত এক লাখ ৫৭ হাজার জেলে সহায়তা পেলেও অনিবন্ধিত প্রায় ৫০ হাজার জেলে এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, নদীতে প্রথমে ইলিশ কম ছিল। তবে বর্তমানে অনেক ইলিশ ধরা পড়ছে। তাই জেলেরা অভিযান ১০০ ভাগ সফল করার জন্য প্রস্তুত। কারণ এ অভিযান মানলে জেলেরা বড় ইলিশ পাবে। তবে অভিযানের সময় সরকার যে চাল দেয় তাতে জেলেদের কিছুই হয় না। এটার পাশাপাশি আরও কিছু দিতে হবে।
তিনি বলেন, জেলার নিবন্ধিত এক লাখ ৫৭ হাজার জেলে সহায়তা পেলেও অনিবন্ধিত প্রায় ৫০ হাজার জেলে এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে। তাই অনিবন্ধিত জেলেদের সহায়তার দাবি জানান তিনি।
ভোলা সদর উপজেলার ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ ফরাজি বলেন, ‘জেলেদের খাদ্য সহায়তাটা আমরা প্রথম দিকেই দেয়ার চেষ্টা করি। এবারও মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ চলে আসবে। জেলেদের তালিকা হালনাগাদ চলছে। আশা করছি অভিযানের শুরুতেই নিবন্ধিত সব জেলেকে খাদ্য সহায়তার আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণে সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ।