জজ মিয়া। বাড়ি নোয়াখালির সেনবাগে। পেশায় সিডি বিক্রেতা। সিডি বিক্রি করতেন ঢাকার গুলিস্তানে। তাকে দেখেই বুঝতে পারছেন, খেটে খাওয়া প্রান্তিক শ্রেণীর একজন মানুষ সে।
২০০৪ সাল, ২১ আগস্ট। ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। আইভি রহমান সহ ২৪ জন নিহত! শেখ হাসিনাকে দলের শীর্ষনেতারা বাঁচাল নিজেদের শরীরে শত শত স্প্লিন্টার নিয়ে! হাজার হাজার মানুষের আহাজারি!
এ ঘটনায় ২০০৫ সালে গ্রেফতার করা হয় জজ মিয়াকে। গ্রেনেড হামলার কয়েকমাস পর তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাকে তুলে মালিবাগ নিয়ে আসা হয়।। ক্রসফায়ার করে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে সাজানো জবানবন্দি দিতে বলা হয় তাকে। তার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন বাঁচাতে সাজানো সাক্ষ্য দিতে রাজি হন তিনি।
২১ আগস্ট সৃষ্টিকারী তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, লুতফুজ্জামান বাবর, আব্দুস ছালাম পিন্টুদেরকে বাঁচাতে সাজানো হয় ‘জজ মিয়া নাটক’!
সেদিন জজ মিয়াকে বলা হয়, তুমি মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে তোমার পরিবার বাঁচবে, বাবা-মা বাঁচবে। আর সাক্ষ্য না দিলে তোমাকে সহ তোমার পরিবারকে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলা হবে! আর তুমি সাক্ষ্য দিতে রাজি হলে তোমার পরিবার-বাবা-মাকে ভরণপোষণ এর দায়িত্ব আমরা নেব। নিজের জীবন আর পরিবারের দিকে তাকিয়ে জজ মিয়া রাজি হয়ে যায়! জজ মিয়ার মা ভরণপোষণ এর টাকা নিতে চায় নি, সে ফেরত চেয়েছিল, তার ছেলে জজ মিয়াকে। সে বলেছিল, আমার ছেলে নির্দোষ, ওকে ছেড়ে দিন। মায়ের আর্তনাদ ওদের কানে সেদিন পৌঁছায়নি। উলটো মাকে শুনতে হয়েছিল, এসব বিষয় নিয়ে যদি কারো সাথে আলাপ করেন বা সাংবাদিকরা যদি জানে, তবে ছেলেকে তো পাবেনই না, নিজেরাও মরবেন!
খালেদা-তারেক নিজেদের ভয়াবহ অপকর্মও ঢেকে ফেলে ‘জজ মিয়া’দের দিয়ে! ২০০১-২০০৬; এই সময়কালে খালেদা-তারেকের কাছে প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষ ছিল একেকজন ‘জজ মিয়া’!
হায়রে বিচার! হায়রে বিচারব্যবস্থা!
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ জয়দেব নন্দীর ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, ২১ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ