নির্বাচনে সংবাদকর্মীদের বাধা দিলে ৩ বছরের সাজা চায় ইসি

আজ রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

আজ রোববার অনুষ্ঠিত হলো ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর এ নির্বাচনেও প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো হয় সিসি ক্যামেরা। আর কেন্দ্রীয়ভাবে সব ভোটকেন্দ্র নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুমে বসে পর্যবেক্ষণ করেন খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

পরে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্রেই সিসি টিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কিন্তু বাজেটে না কুলালে বসানো হবে শুধু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে।

আহসান হাবিব বলেন, সংসদ নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেয়ার আন্তরিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা থাকবে, এটার সঙ্গে আর্থিক ও টেকনিক্যাল সাপোর্টের বিষয় আছে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটও নেই। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে। বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেব। ইচ্ছা আছে পুরো নির্বাচনটাই সিসি ক্যামেরার মধ্যেই আনা। সংসদের আগে যত নির্বাচন হবে সব ইভিএম ব্যবহার করা হবে এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। এটা লাক্সারি নয়, এটা এখন প্রয়োজন।

এ সময় নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সংবাদকর্মীদের সুরক্ষায় বিশেষ আইন করতে কমিশন সুপারিশ করেছে বলেও জানান তিনি।

এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, সাংবাদিকদের ক্যামেরাই আমাদের চোখ। আমাদের চোখে যেন প্রত্যেকটা অনিয়ম ধরা পড়ে। এজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আমার (ইসির) অন্যায়গুলো আপনার চোখে ধরা পড়লে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমার ভুল ভ্রান্তি দেখিয়ে দেন, আমি নিজেকে শুধরে নেব। এই মূল্যায়ন আমি মিডিয়াকে করে আসছি।

শিগগিরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া হবে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।

Scroll to Top